অন্তহীন
বেডরুমের দরজা বন্ধ হলে নিস্তব্ধতা নেমে আসে মোহনার
বিছানায়। যতক্ষণ টিভি চলে জীবন সচল থাকে। টিভি বন্ধ হলেই ভীষণ চুপচাপ হয়ে যায় ঘর।
যে ঘরে দুটো প্রাণী সহবাস করে অথচ সেই দাম্পত্যে কোনো উষ্ণতা নেই বললেই চলে।
দাম্পত্য একটা বাস্তুহারা বিভীষিকা যা প্রত্যেকটা মানুষকে বাধ্য করে ক্রান্তিসভার
মতন ‘এক হও!’ বলে, কিন্তু তার সুনির্দিষ্ট কোনো কর্মসূচি নেই। বাল্যবয়সে অনেকেই ভাবে প্রেমটা
করতে পারলেই বর্তে যাব। ঠাকুর একটা কাউকে জুটিয়ে দাও। কিন্তু দিন যত এগোয়, সূর্য যেমন মাথার উপর উঠে তাতাথইথই নৃত্য শুরু করে, লিবিডো মাথায় চাঙার দেয় বয়ঃসন্ধিদের এবং এই ভাবনার বশবর্তী
হয়ে বিপথে হাঁটতে শুরু করে অনেকে, যাদের যৌবন আসার আগেই কেটে যায় মোহ। জীবন সত্যিই এক মোহ!
মোহনার বয়স এখন চুয়াল্লিশ। বিনয় হাফ
সেঞ্চুরির দরজায়। বিয়ে হয়েছে প্রায় কুড়ি বছর। ছেলের বয়স সতেরো। বিনয় সরকারি চাকুরে। মাস গেলে মাইনে পায় মোটা। গোলপার্কে ফ্ল্যাট। মোহনা
অঙ্কের টিচার। পড়ায় প্রাইভেট স্কুলে। দাম্পত্যে এর চেয়ে বেশি আর কী চাই! কিন্তু যা যা দরকার, থাকা সত্ত্বেও যেন কিছু একটা নেই ওদের জীবনে। হয়তো খোঁজার
চেষ্টা করেছে সিকিম, কেরালা, রাজস্থান, কাশ্মীর ঘুরতে গিয়ে। কিন্তু ভারত ভ্রমণের সঙ্গে যে দাম্পত্যের বসবাস সমান্তরাল
রেখায় সেটা আর বুঝে উঠতে পারেনি দম্পতি। অগত্যা ফিরে এসে প্রত্যেকবার বেড়েছে ছবির
অ্যালবাম। কিন্তু
স্মৃতির অ্যালবাম শূন্য!
ছেলে হওয়ার পর দম্পতির নিজস্ব সময় বলে আর
কিছু থাকে না। আত্মজই তো তখন নিজস্ব। নিজস্ব সম্পত্তি।
যাকে বড় করে তুলে দিতে হবে একটা দাম্পত্য জীবন। এই দাম্পত্য লোহার শেকলের মতন। যা
না পরলেই লোকে বলতে শুরু করবে হাজারো কথা। লোক বড় নাক গলায় সবার জীবনে।
এতটা লিখে থামল কুশল। মা স্নান করতে ডাকছে। ‘যাচ্ছি মা’ বলে কয়েকবার না যাওয়ার ফলে এক ধমকপূর্ণ ডাক শুনে উঠতেই হল কুশলকে। ইচ্ছা
করছিল না উঠতে ওর। সুখ নীলকণ্ঠ পাখির মতন নিরুদ্দেশ লাইনটা গল্পে ব্যবহার করতে
চেষ্টা করছে সেই সকাল থেকে। এখনও অসফল। তাও উঠল। স্নান করে যদি মাথাটা ঠান্ডা হয়, যদি লিখে উঠতে পারে বাকি গল্পটা। যদি ব্যবহার করতে পারে,
‘সুখ নীলকণ্ঠ পাখির মতন নিরুদ্দেশ’...
দুপুরে মুড়িঘণ্ট দিয়ে ভাত বেশ চেটেপুটে খেল
কুশল। মুড়িঘণ্ট ওর খুব প্রিয়। ইদানীং লেখালিখি নিয়ে এত ব্যস্ত ও যে ঠিকমতো খায়ও
না। কুশল সবে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করেছে, কিন্তু লেখক হিসেবে বেশ নামডাক হয়েছে ওর। ইতিমধ্যে দুটো তিনটে বড় পত্রিকায় ওর
গল্প ছেপে বেরোচ্ছে। একটা ধারাবাহিক উপন্যাস লেখার কথাও ভাবছে। লেখাটাকে পেশা
হিসেবে নিতে চায় ও। লেখালিখি নিয়ে ওর বাবা আপত্তি না জানালেও তার পাশাপাশি একটা
কাজ খুঁজতে বারবার বলছেন। কিন্তু কুশল সেসব কথা কানে তোলেই না। আজকালকার ছেলেদের
থেকে কিছুটা আলাদা কুশল। ফেসবুক আছে ওর কারণ এখন তো ওটাই জনসংযোগ স্থাপনের বড়
রাস্তা। আর ফেসবুকে
কম ফলোয়ার নেই ওর। তাই পুরোদমে লেখে। সুনীলবাবু কবে একটা বলেছিলেন না,
‘লেখো, লেখো, লেখাই একমাত্র উত্তর’! কুশল লেখে।
যাহ! হারিয়ে গেল। ছেলেটা খেয়ে এসে ওই লাইনটা আর লিখতে পারল কিনা
জানতেই পারলাম না। লেখকের নামটাও তো দেখা হল না। গল্পের নামটাও তো দেখিনি। ইশ্ কি
যে এই ঘুম হয়েছে এখন। যখনতখন চোখ লেগে যায়। আর হাত লেগে কখন ব্যাক হয়ে গেছে বুঝতেই
পারিনি। ধুর! মুডটা নষ্ট হয়ে গেল। এই বুড়ো বয়সটা সহ্য
হচ্ছে না আমার। কেন যে বুড়ো হয়ে গেলাম! আগে বেশ ছিলাম। এখন মন্দ আছি তা নয়। সময় বেশ কেটে যায়। ফেসবুকে আর ওয়েব
পোর্টালে গল্প পড়ে। কিন্তু এমন তো কোনোদিন হয়নি আগে। আমি লেখকের নাম সবসময় দেখে
রাখি আজকে যে কী হল। আর কী করে পাব এখন হারিয়ে যাওয়া লেখা! আমি পড়তে পড়তে হারিয়ে ফেলেছি বলে এমন হচ্ছে। আর লিখতে লিখতে
খেই হারিয়ে ফেললে লেখকদের কেমন হয় তাহলে! হারিয়ে ফেলার কষ্টটা আসলে সবার জন্যই এক: ইউনিভার্সাল। আমি তো সেই কবে প্রতিমাকে হারিয়ে ফেলে একা হয়ে
গেছি। এখনও মনে পড়ে সন্ধে হলে প্রতিমা যখন প্রদীপ নিয়ে বেরিয়ে আসত ঘর থেকে, দেখে মনে হত স্বয়ং কোনো দেবীপ্রতিমা এগিয়ে আসছে হাতে প্রদীপ
নিয়ে। শেষশয্যায় প্রতিমাকে তো প্রতিমাই লাগছিল। যেন কোনো মৃৎশিল্পীর স্টুডিওতে গড়া
চিন্ময়ী। অপেক্ষা করছে কখন শিল্পী তার চোখে দেবে তুলির টান। এই বৃদ্ধ বয়সের
একাকীত্ব কেউ বুঝবে না। কেউ না! কেউ না!
আচমকা ঘুম ভাঙল উজ্জ্বলের। এটা কি অদ্ভুত
একটা স্বপ্ন দেখল। একটা গল্প থেকে হেঁটে যাচ্ছে আর-একটা গল্পে। সেখান থেকে আবার একটা গল্পে কিন্তু কোনো গল্পের
সঙ্গেই কোনো গল্পের মিল নেই, শেষ নেই। গল্পের কি শেষ হয়? শেষ হওয়ার পরেও তো পড়ে থাকে চরিত্রগুলোর জীবন যা তারা নিভৃতবাসে কাটায় সবার
আড়ালে। প্রত্যেকটা হ্যাপিলি এভার আফটার গল্পের শেষে চরিত্রগুলোর তো একটা নিজস্ব
সংসার থাকে। যেখানে তাদের অফিস যেতে হয়, খেতে হয়, বাঁচতে হয়। লেখক তো লিখেই ফুরুত। চরিত্রের বাকি
জীবনের দায়িত্ব তো লেখকের নয়। চরিত্রের নিজের। মস্তিষ্ক এক আজব জননী। জন্ম দেয় বটে
কিন্তু খেয়াল রাখে না সন্তানদের। এই সন্তানদেরও কি মনে পড়ে না মা-এর কথা! কথায় বলে, ‘কুসন্তান যদিও বা হয়, কুমাতা কখনও নয়।’ কিন্তু এদের ক্ষেত্রে কুসন্তান কুমাতা দুটোই কি প্রযোজ্য?
উজ্জ্বল তাকিয়ে দেখল খাবার চাপা দেওয়া আছে।
অর্থাৎ মৃদুল বেরিয়ে গেছে। মৃদুল উজ্জ্বলের রুমমেট। ওরা দু’জনেই কলেজে পড়ে, থাকে এই ভাড়াবাড়িতে। মৃদুল ভাড়াবাড়ি না বলে বাসা বলতে ভালোবাসে। বাসা বললে
যখনতখন ভালোটা জুড়ে নিয়ে ভালো-বাসাও বলতে পারে। তাই এটাই ওর প্রিয় ডাক। ভালো-বাসা হবে নাই বা কেন! এই ভাড়াবাড়িতে থেকে মৃদুল পরীক্ষা দিয়ে পেয়েছে ফার্স্ট ক্লাস।
জুটেছে গার্লফ্রেন্ড। পেয়েছে টিউশানি। এই বয়সে আর কী চাই। মৃদুলের বাবা মাঝেমাঝে
দেখতে এলে বলে থাকে, ‘বড় পয়া এই বাড়িটা’!
চোখমুখে জল দিয়ে এসে ঢাকা সরিয়ে দেখল পাউরুটি
রেখে গেছে মৃদুল। উজ্জ্বল, দিবাকরের উজ্জ্বল কিরণের বিকাশ ঘটলে উঠতে পারে না। অগত্যা সকালের খাবারের ব্যবস্থা বেশিরভাগ দিনই করে
মৃদুল। আজও তাই হয়েছে। গত রাত থেকে উজ্জ্বলের জ্বর। তাই ঠিক করেছে, একটু ভালোলাগলেও আজ কলেজ যাবে না। একটা দিস্তা খাতা টেনে নিয়ে অঙ্ক কষতে শুরু করল। এই
অঙ্ক মেলানোর জন্যই তো এত ঝক্কিঝামেলা। বাড়ি থেকে এত দূরে এসে থাকা। যাতে জীবনের
অঙ্ক মিলে যায় কোনোভাবে। শহরে যেদিন প্রথম পা রেখেছিল সেদিন মাথায় স্বপ্ন ভনভন
করছিল মাছির মতন। জীবনে প্রথম একা থাকতে আসা এত দূরে। কান্নার সঙ্গে সেদিন মিশে
গেছিল আনন্দাশ্রু।
—‘আনন্দাশ্রু’ কথাটা বাদ দাও বিপুল। খুব ক্লিশে। প্রয়োজন হলে শেষ লাইনটা বাদ দিয়ে দাও
পুরোপুরি। বাকিটা বেশ ভালো দাঁড়িয়েছে। এরকম ভাবে শেষ করবে না নিশ্চয়ই?
—না অমিয়দা, আরও খানিকটা লিখব। তোমায় দেখিয়ে নিলাম, আফটার
অল তোমার পত্রিকার নাম জড়িয়ে, লেখাটা ঠিকঠাক এগোচ্ছে কিনা একটা ওপিনিয়ন পেলে সুবিধা হয় আর
কি, তাই মেসেজ করলাম।
—বেশ করেছ। বেশ করেছ। কি বলো তো, তোমার গল্পের চলনটা বেশ লেগেছে কিন্তু আমার।
—থ্যাংক ইউ।
ফোনটা পকেটে পুরে বিপুল বেরিয়ে পড়ল বাড়ি
থেকে। ক’দিন ব্যস্ততার জন্য মামাকে দেখতে যাওয়া হয়নি।
বিপুলের মামা এক সপ্তাহ মতন হসপিটালাইজ়ড। সোডিয়াম পটাশিয়াম কমে গেছে, সঙ্গে কিছু নার্ভের সমস্যা— বয়স তো কম হল না। হসপিটাল থেকে ফিরে আজকে লেখাটা শেষ করতেই
হবে। ক’দিন ধরে ঝুলে আছে। অমিয়দা এখনও তাড়া দেয়নি।
কিন্তু বিপুলের দিয়ে দেওয়া উচিত সময় মতো। ও নবাগত। প্রথম থেকেই পাংচুয়ালিটি নিয়ে একটা সুনাম হয়ে গেলে মন্দ হবে না। স্কুল কলেজ সর্বত্রই বিপুলের
পাংচুয়ালিটির প্রশংসায় পঞ্চমুখ সকলে। তাই সেই গুডউইল ধরে রাখা এমন কিছু কঠিন হবে
না। যদিও ধরে রাখাই সব থেকে বড় কাজ। দেওয়াল যেমন রং ধরে রাখে, ঘড়ি যেমন সময়কে, খাঁচা যেমন পাখি ধরে রাখে, নাম যেমন পদবিকে।
রাস্তা পার হতে গিয়ে বিপুলের চোখে পড়ল এক
ঝাঁক পাখি উড়ে যাচ্ছে মাথার উপর দিয়ে। স্টিফেন ডেডালাস লাইব্রেরির সিঁড়ি থেকে যেমন
এক ঝাঁক পাখি দেখেছিল তেমন। কিন্তু বিপুল তো স্টিফেনের মতন রোমহর্ষক কোনো অনুভূতি
অনুভব করল না। বরং ওর কিছুই হল না। ‘যে আঁখি হয় না খুশি আকাশ ভরা তারা দেখে’ গানটা মনে পড়ে গেল ওর। ও কি সেই দলে, যাদের চোখ ‘এক ফালি নাগরিক আকাশে’ পাখি দেখার পরেও ভরে না? নাকি ওর নাম স্টিফেন নয় বলে ও বুঝল না এক ঝাঁক পাখি উড়ে যাওয়ার মাহাত্ম্য!
—ধুর এই কিস্তিতেও পরিষ্কার করল না কিছুই!
—ধারাবাহিকে তো এমনটাই হয়।
—আরে কোনদিকে এগোচ্ছে তো বুঝতেই পারছি না। গল্পের মধ্যে দিয়ে গল্পে ঢুকে যাচ্ছে, কে যে আসল হিরো, আসলে কার গল্প বলছে তো বুঝতেই পারছি না।
—বুঝতে হবে না অত, পড়ে যা শুধু। পাঠককে এত অধৈর্য হলে চলে?
মিতালীর সঙ্গে কথা বলেও অস্থিরতাটা কাটল না
অনীকের। চিরকাল নিষ্ঠাবান পাঠকের ভূমিকা পালন করে এসেছে এবং এই পঞ্চান্ন বছরে
দাঁড়িয়েও তাই করছে। বিভিন্ন পত্রিকায় সমালোচনা বিভাগে সব সময় লেখা থাকে অনীকের।
সমালোচক হিসাবে ওর নামডাকও বেশ। কিন্তু মোহন শ্রীবাস্তব নামক এই অবাঙালির
ধারাবাহিক উপন্যাস ‘নাম নেই’ নিয়ে একরকমের লেজেগোবরে অবস্থা ওর। কীভাবে যে ধরলে এটার উপর
একটা সমালোচনা লেখা যায় সেটাই বুঝে উঠতে পারছে না। তারপর পত্রিকা অফিসে ফোন করেও ধরা যায়নি লেখককে। লেখক
ঠিক তার লেখা ধারাবাহিক উপন্যাসটারই মতন। ‘ধরব ধরব করছি, কিন্তু ধরতে পারছি না’। অনীকও ছাড়ার
পাত্র নয়। প্রত্যেক সপ্তাহে ভাবছে এই বার নিশ্চই পাব কে হিরো, ধরতে পারব আসলে কার গল্প বলছে, কিন্তু সে আর হচ্ছে না। পত্রিকাকে তো দোষ দিয়েও লাভ নেই।
উপন্যাস না শেষ হলে তারাই বা কেন উত্তর দেবে উপন্যাস নিয়ে। কিন্তু এই সপ্তাহের পর
সপ্তাহ কূলকিনারা না করতে পেরে অনীকও বীতশ্রদ্ধ। অথচ অভক্তি জন্মাচ্ছে না। বরং জেদ
আরও বাড়ছে।
—তুমি পাঠকের ভূমিকা ভুলে যাচ্ছ অনীকদা, লেখককে দোষ দিও না!
—কেন দেব না বল তো মিনি?
—তুমিই বা কেন গতানুগতিক গল্প খুঁজছ উপন্যাসে।
দেখো না লেখক এগিয়ে নিয়ে যায় কী করে।
—এই পত্রিকাগুলোর না মাথা খারাপ হয়ে গেছে কোথা
থেকে জোগাড় করে এই নতুন হাবিজাবি লেখকগুলোকে আর ছাইপাশ ছাপে।
—ভুল করছ। এই ভুলটাই সবাই করে অনীকদা। গল্প খুঁজতে খুঁজতে ভুলেই যায় উপন্যাস শুধু গল্পে বাঁচে না। নিজেও
বাঁচতে পারে। উপন্যাস নিয়ে এই এক্সপেরিমেন্টটা করতে দাও ওকে। কেন খামোকা হিরো হিরো
করে ছুটছ? হিরো ছাড়া যে গল্প বলতে চাইছে তার গল্প শুনবে
না?
—তুই বুঝবি না!
—আমি বুঝছি, তাই বলছি। অনীকদা উপন্যাস একটা অভিধানের মতন যার শুরু নেই
শেষ নেই। যার পথ অন্তহীন, শুধু আছে অনেক কিছু জানিয়ে যাওয়ার, বলে যাওয়ার ক্ষমতা, যা জেনে ধীরেধীরে খুলে যাবে একের পর এক রাস্তা যে রাস্তা ধরে আবার পৌঁছে যাবে
আর-একটা রাস্তায়। রাস্তার কি আর শেষ হয় অনীকদা?
আমি কী লিখবো বুঝতে পারছি না। এরকম লেখা আমি কেন কেউই হয়তো আগে কখনও পড়ে থাকবে না। সত্যিই তো, কেমন চলছে এখন অনিমেষ মাধবীলতার সংসার? কেমন আছে দয়িতা? মিতিন মাসির আজকাল রহস্য থেকে মন উঠে গেছে কি? এই লেখা চোখের সামনে একটা আলাদা জগৎ খুলে দেয়। লেখককে ধন্যবাদ পাঠকের কাছে সেই জগতের চাবিকাঠি পৌঁছে দেবার জন্য।
ReplyDelete