বাক্‌ ১৫০ ।। নকিব মুকশি

ছয়টি হেজিমনিক কবিতা

 

ভূত, বাবলাগাছ

করোনা রোগীর মড়ামৃত বাবলাগাছ: অস্পৃশ্য...!

করোনা রোগীর মড়াভূতের ভাগাড়: প্রেতপুরী...!

 

শরীর কাঁপে!

আমার হাঁটার ভঙ্গিমায় বিড়ালঅভিসারের প্রেমিক: গেরিলার চলন...

শরীর কাঁপে!

 

করোনা রোগীর মড়ামৃত বাবলাগাছ: অস্পৃশ্য...!

করোনা রোগীর মড়াভূতের ভাগাড়: প্রেতপুরী...!

 

০৫/০৭/২০


 

ডোবাডুবি

আমি ডুবছি

পারদরাতের গঁদকুসুমের আঁধারে

ভাষাহীন পাখিডানাহীন মানুষে

 

থার্মোমিটারের

চূড়ায় ওঠা পারদমধ্যাহ্নের দুপুরএভারেস্টচূড়া জয়ের

ঠিক আগমুহূর্ত...

 

একটু পরই গড়িয়ে পড়বে

একটুকরা বরফবোঁটাচ্যুত ফল...

 

সমুদ্রের পেটে ডুবতে থাকা দ্বীপআমিভাঙা ডোঙা...

ক্রমশ ডুবছি

ডুবে যাওয়াই আলোর নিয়তি

ডুবছি তাই

অতল পাথারফুল ছেঁড়া মেয়ের দেশে...

 

ফুলবধূআমার আকাঙ্ক্ষা, খুঁজি সকালঘ্রাণ বাগানের

এখানে ডাহুক ঘুমায়ডেকেছি তারে শতাব্দ আগে

এখনো ডুবন্ত

আমিও ডুবছি

 

 

 

প্রশংসা

তোমাদের ঠোঁট চুইয়ে পড়া

বাঁধভাঙা প্রশংসানিভৃতে কোনো যুবকের হস্তমৈথুন: ঝরে যায়

ছেঁড়া ফুলের ঘ্রাণ

 

তোমাদের চোখ উপচে পড়া

প্রশংসার ঢলঘাসের ডগায়

ভোরের শিশিরঝুলে থাকা মেঘের আঁচল: কাঁপছে আকস্মিকতা

 

এখানে আমি এক

কচি বালকের হৃদয়পৃথিবীর পথে বেরিয়ে পড়া

ঋষির ঠোঁট: পাখা মেলছে বোধিবৃক্ষ...

 

০৫/০৭/২০


আমি প্রলুব্ধ

বাবার হালচাষসব ধাঁধাশিরের লোকমাজরায়ুর আঁধারে

আমি প্রলুব্ধ

মৌমাছিপৃথিবীর কবি, পৃথিবীর মানুষআদিম হাওয়া-রোদে

আমি প্রলুব্ধ!

 

আমি বরাবর

এসবে প্রেম দেওয়ার লোকপোষা কুকুররাতের হাসনাহেনা

আমি বরাবর

জিরাফের চোখজলের চেহারাবেশ্যার দুই জোড়া ঠোঁটে

আমি প্রলুব্ধ

গানের পাখিটিলার বেহালাকাঁটাতারছেঁড়া নদী-বৃষ্টি-হাওয়ায়

আমি প্রলুব্ধ

বহুরূপী প্রকৃতির চোখমারাগোলের ইশারাবনের রংবেরঙে

 

আমি প্রলুব্ধ এসবে

কারণ, আমি পিতাকে ভুলি, মাতাকে ভুলি, ভুলি পুরোনো রোদ...

 

০৭/০৭/২০

 


মেঘ, বৃষ্টি, রোদ...

কাছের বাদামদুটি উজ্জ্বল ফানুস: যুগ যুগ ধরে ওড়ে, তবু

নেভে না তার লন্ঠনবিড়ালের চোখ মহাসমুদ্রের আঁধারে...

 

 

 


ভেলকি

তোমার ওই ঠোঁটকালো চুলঝলমলে আঁধার...

এই বাগানতারা ভরা আকাশ...

­

এখানেই রাতদিনের যৌথ মহড়া,

এখানেই কুহেলী সুষমাসমুদ্রের কিনারে নামা একফালি চাঁদ

 

 

No comments:

Post a Comment