বাক্‌ ১৫০ ।। আর্দ্র

 

সংলাপ ভারি হলে

একটি ঘাস কিংবা বৃক্ষের 

ছায়াকে মনে পড়ে খুব

 

এই যে নির্জন মেখে নিশ্চুপ শুয়ে থাকে তির্যক পাঁজরেরা

 

গলায় ডুবে যায় কান্নাপ্রসূত পাখির বাসা

আগুনের ছদ্মবেশ

 

এই থেমে যাওয়া নদীদের পাঁচিল ভেঙে দাও

তাদের মৃৎপাত্রের ডানায় মুড়ে রাখো শিকারির ছবিগুলি

 

ম্রিয়মান মাথায় ছড়িয়ে দাও সুগভীর মেঘের দানা

অনুরক্ত প্রেমিকের মতো

 

 

আর রঙিন চশমার গায়ে লেপে দাও গানের মতো সহজ কিছু শ্লোক

 

 

 

 

 

 

এখন 

গাবগাছের পাশে দাঁড়িয়ে

আধখাওয়া পৌষের চাঁদে

ঢেলে রাখি অনুচ্চারিত শব্দের ধুসর

কিংবা কখনও পাকা রোদের খোসা ছাড়িয়ে ফিরে যাই 

যতদুর ছায়াগাছ দেখি

 

যদিও জানি কিশোরীর হাসির ভেতর ওরা ক্রমশ 

কুয়াশার দাগ রেখে দিতে চাইছে...

 

নিভিয়ে দিচ্ছে আলোছাময় পৃথিবীর অনুবাদ

 

ওঠো 

এই গভীর গোপন পাথরের গায়ে এঁকে দাও তানপুরার পায়ের ছাপ

 

 

 

 

আমাদের এই বসে থাকার আড়ালে 

গ্রাম খুলে খুলে তৈরী করছে শকুনের মতো চিৎকার

 

এই যে বীজফসলের গায়ে শুয়ে আছে কৃষকের কান্না

 

আর আমাদের মৌনতায় ওরা ক্রমশ জমা করে চলছে দলবদ্ধ শোক

 

তবু

যারা আগামী বসন্ত অবধি লাফাতে চেয়েছিলো সুলভ অক্সিজেনে

 

তাদের জিজ্ঞেস করো

 

তুমি কখনও ভাত-কাপড়ের টানে ঘুম ছিঁড়ে যাওয়া দেখেছো?

 

 

6 comments:

  1. অত্যন্ত সপ্রতিভ লেখনী আরো জানতে চাই।

    ReplyDelete
  2. শ্রদ্ধা জানবেন।

    ReplyDelete
  3. বীজফসলগুলো অক্সিজেনে জারিত হোক, ভাত কাপড়ের টান যে বড় টান,,,,,,, খুব সুন্দর ভাবনার প্রতিফলন, শুভেচ্ছা রইল।

    ReplyDelete
  4. ভালবাসা আর শ্রদ্ধা জানবেন। আপনাকে জানার ইচ্ছে রইলো।

    ReplyDelete
  5. কিছু কিছু শব্দবন্ধ বেশ জোরালো। ভাবনার স্বচ্ছতা ভালো লাগলো।

    ReplyDelete
  6. আমার শ্রদ্ধা নেবেন।

    ReplyDelete