বাক্‌ ১৫০ ।। শেখ সোহাগ রেহমান


 

বিস্ময়সূচক চিহ্ন

 

মৌসুমি হাওয়ার গান শেখাও পাখি— খুব বেশি দূরে নয় সে অরণ্য।

য্যান—

বিস্ময়সূচক চিহ্নের মতোই গাঢ় বিস্ময় তুমি!

দৃশ্যত— কোমল; বস্তুত কঠিন ফাঁদ

ভুল সুরে ডাকাডাকি— মূলে পচন।

আঘাতের শব্দ মুছে ইরেজারে তুলে দাও রঙিন স্বপ্ন— নিঃসঙ্গতার যৌথ বয়ান...

 

 

 

অদৃশ্য ব্যাকরণ

 

না আর কোন প্রশ্ন নয়—

আত্নহত্যার বৈধতা নিয়ে কোন প্রশ্ন কোরো না নিজেকে!

 

একটি চূড়ান্ত মৃত্যুর ব্যথাতুর গল্প গোপন থাকুক,

উড়ে যাও পাখি অন্য ডালে।

এখানে বসন্ত আসে না কখনো, আদিম পাঠশালায়ও থাকে না কেউ৷

দাঁড়াও থামো—

আত্নঘৃণার ফসল ঘরে তুলো।

সহজে ভেসো না;

দাঁড়াও থামো!

 

চেনা স্রোতে ভাসে না সকলেই,

কেউ কেউ ডুবে যায় গভীর নদীতে—

 

থামো—

বিপর্যস্ত সময়ের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে দ্যাখো আত্নহত্যার দূরত্ব।

নির্জীব বৃক্ষের কাছ থেকে শুনো বিদ্রুপের গান...

 

ছায়াপথের সঙ্কেতে ভুলো না ঊর্ধগামী পতনের সমীকরণ।

 

কাঁটাতারের বেড়ায় আছড়ে পড়া স্মৃতির ফলক কেটে শিশুদের হাড় পুড়ে যাওয়া জ্বরে আমি হেঁটে যাচ্ছি বেশ্যাপাড়ার দিকে— নতুন কেউ এসেছে কি-না এ পাড়ায় তা আমি জানি না।

তবু আমি এসেছি— খুঁজতে এসেছি।

প্রেমিকাদের সন্তানেরা বড় হয়ে গ্যাছে জানি;

শিকারীর চোখ এড়িয়ে নাচতে জানে না কেউ।

 

থামো—

উল্টো দিকে হেঁটো না ফিরিয়ে আনো পা।

সেইসব শিশুদের কপালে তাকাও যাদের নেই কোন জন্ম দাগ

অথচ সমূহ ব্যথার আশঙ্কায় তাদের রাতগুলি হয়ে যায় দীর্ঘতম পাহাড়।

দাঁড়াও থামো—

প্রশ্নবোধক চিহ্নের ব্যবহার প্রসঙ্গে আলাপ চালিয়ে যাও।

গরম লেবুজলে ভিজিয়ে নাও গলা—

প্রশ্নবোধক চিহ্নটা দাঁড় করে দাও ঐ শিশুটির পাশে যার চুলের আগায় দোল খায় পুঁজিবাদ।

 

 

সেফটিপিন

 

তোমার সেফটিপিনটা হাতে নিয়ে চুমু খাই

রেখে দিই; আবার চুমু খাই!

বিকলাঙ্গ দুঃখের মতো পিপাসার জল হই—

চুম্বকের ধর্মে ঈমান এনে তোমার দিকে অগ্রসর হই!

ফিরে আসি—

সেফটিপিনটা হাতে নিয়ে আবার চুমু খাই!

ছুঁই ছুঁই করেও না ছুঁয়েই ফিরে আসি;

 

ভাঙনে প্রশস্ত নদী আমাকে ডাকে, আমি সাড়া দিই না।

 

তুমুল উচ্ছ্বাসে বহতা নদীর স্রোতের মতো ভেঙে যাই;

ভাঙতে ভাঙতে বিমর্ষ ঘাসফুলের কান্না হয়ে ফুটে থাকি পথে

তুমি মাড়িয়ে যাবে বোলে...

 

No comments:

Post a Comment