বাক্‌ ১৫০ ।। তমসা অরণ্য

 


কুপিত উপদেশ ঝামাঃ একদল ভাতের বাজিমাৎ 

 

 

একদিন মিউজিয়ামে ভাত থাকবে। আর আমাদের খেয়ে ফেলবে কতিপয় গামলা-শূন্য-রাখনবাদী অ্যারিস্ট্রোক্যাট।

 

প্যাট-শূন্য-রাখনে সংশয়বাদী আমজনতা করতালির বদলে; জোড়াতালি দেয়া দেশ দেখে; পার্শিয়ান বিলাইয়ের পোশাক পরে ল্যাটকা মেরে পড়ে থাকবে যত্রতত্র। 

 

গোত্রভেদে উল্লাস ও হাহাকারে ভরবে যাবতীয় ইন্টারনেট। 

 

 

 

একান্ত বৃহৎ

 

 

তোমাদের যৎসামান্যের, তোমাদের

তুচ্ছের ভিড়ে; সামষ্টিক বৃহৎকে ঠেলেঠুলে চেপে;

আমার একান্ত বৃহৎ কিছু তোমাদের গ্রহ থেকেও

বড়ো কিছু হয়ে আসে। 

 

হয়ে আসে বড়ো বেশি গুরুত্বপূর্ণ। 

 

তোমাদের দর্পের নীড়ে আমার দর্প কেনইবা

হতে আমি দিয়ে দিবো চূর্ণ? 

 

আমি টঙ্কার হবো, ওঙ্কার হবো, হুংকার হবো।

হবো তীব্র উলুধ্বনি, হবো শাখ। 

অনেক কথা বলার; তবু থাক! 

 

আমার একান্ত বৃহৎ কিছু

তোমাদের গ্রহ থেকেও বড়ো কিছু হয়ে

আসে। 

 

'দুচ্ছাই' নদীর জলে এ আমার

'কুছ পরোয়া নেহি' ভেলা ধীরে চলে;

শির তাক করে

ভাসে। 

 

 

 

আনারদানী বিষ-অন্যতা

 

 

যোজন যোজনের দূরত্ব সে করেনি ওজন,

নির্জন নিথর রাতই ছিল কেবল সহায়।

একেলা একারও থাকে সরবতা-শরবতপিয়াসী মন।

তাই তো, প্রিয়, আনার ফলের ভাঁজে তুমিও বিচ্ছিন্ন দানা;

কেমন অসহায়! 

--- --- ---

 

"জাগরণ খ'বের ভেতর ঘুমন্ত বাস্তব"

- তমসা অরণ্য

 

আপনি আমাকে

বিশেষ বিবেচনায় রাখবেন,

আর আমি আপনাকে করতেই থাকবো

খারিজ।

 

স্বার্থমিল কি চীজ আপনি জানেন?

 

একধারে অশ্রুর বান,

অন্যধারে উৎসবের শ্যাম্পেন!

আপনি কে? নিজেকে কী ভেবেছেন?

 

শুনুন, ভুলে যাওয়ায় নিষেধ আছে-

যার অঢেল আছে তারেই তেলের খনিতে আনাবো।

দাতারেই পৃথিবীবাসী দেউলিয়া বানাবো। 

 


No comments:

Post a Comment