বাক্‌ ১৫০ ।। শুভজিৎ ভাদুড়ী

 

ইদানীং যেমন মনে হয়

এক

তোমার সঙ্গে চাল ডালের কথা ছাড়া
আর কোনও গল্প করা হয়নি কখনও
এদিকে বয়সও গিয়েছে বেড়ে

এখন মধ্যরাতে শিশুর ক্রন্দন শুনে উঠে বসি
আর দেখি ক্ষুধাই কান্নার প্রধান কারণ।
তুমিও বুকের আগল খুলে গলগল গলগল করে
এনে দিলে নিবৃত্তি।

তোমার সঙ্গে চাল ডালের কথা ছাড়া
আর কোনও গল্প করা হয়নি কখনও
 
না হলে বলতাম,

এই যে এত মানুষের কান্না পৃথিবীতে- ক্ষুধাই তার প্রধান কারণ
দেশ কখনও তাদের মা হতে পারে নি।


দুই

সহসা সে এসে সামনে দাঁড়ায়
বলে কতক্ষণ মেয়াদ এই আনন্দের
আমি চমকে উঠি, স্থির হয়ে যায়
দুরন্ত এক ছোটার মধ্যিখানে

কতক্ষণ মেয়াদ এই আনন্দের?

মাথা নিচু করি আমি
দেখি বহুকাল আগে শোক ভোলার অছিলায়
আমি আনন্দ শুরু করেছিলাম

এখন শোক নেই আর
এক সর্বগ্রাসী আনন্দ আমাকে গিলে খেতে শুরু করেছে

যা নিঃসন্দেহে আমার শোকের কারণ হতে পারত।


তিন

যত একা হয়েছি, যেন আরও শক্তিশালী হয়েছি

এখন আর কথায় কথায় তোমাকে সন্তুষ্ট করার
আমার কোনও তাগিদ নেই

এখন আর উঠতে বসতে ভাবতে হয়না
তুমি
কী ভাবলে

যত একা হয়েছি, যেন আরও সাহসী হয়েছি

হয়তো এরপরে তোমার সঙ্গে আমার দেখা হলে
পথে ঘাটে বাজারে বাসে ট্রামে মেলা বা সম্মেলনে
তুমি আমাকে এড়িয়ে যাবে , কেননা
একা মানুষদের সবাই ভয় পায়

কারণটা আমি জানি
এই পৃথিবীতে একমাত্র একা মানুষেরাই মুখের উপর সত্যি কথা বলে।
 

 


3 comments: