বাক্‌ ১৫০ ।। সুবর্ণকান্তি উত্থাসনী

পিরামিড

 

সে কোন নারীর লাস্য খুদে ত্রিযামা শীর্ণতাসম্বল

আমি ও আমাকে ডিঙায় যে স্রোত পরিত্যক্ত নীল

 

নিষিদ্ধ নগরীর দেহে আলো ভাঙা স্রোতের বৃত্ত

গেথেঁছে বুকের ওপর পেঁচা ডাকা সোঁদাল গম্বুজ

 

সারারাত ভিজে গেছে চিবুক বেয়ে নামা জলের শূন্যতা

আমার ঠোঁটের খেদে বিস্মৃত কৈশোরের অপাঠিত লিপি

 

বান্ধবী ছিল তারা ছিল এক ফ্যারাওয়ের প্রসিদ্ধ সভা

বাইজীর স্খলিত বক্ষ থেকে খসে পড়েছিল বিষাক্ত কিরিচ

 

সংযোগে ষড়যন্ত্র আর বালুকায় আছে কিছু সঞ্জীবনী সুধা

ডাকিনীর দেহভাষে ডুবে আছে বোধিমুখে ডেরা অঘোরীর

 

কোথায় বান্ধবী আর কোথায় সভা মদের মধ্যে যে তিক্ত নেশা ছিল

আকণ্ঠ জ্বলে গেলে হায় থরে থরে এঁকেছিল মিশরের লুপ্তশ্রমিক

 

 

 

সুব্রহ্মের গর্ভ কিংবা বিভাজন রিপু

 

নিকষ অরণ্যে যাই বারুদের গন্ধ ছাড়াই একটা আস্ত রমণ চলছে

জোনাকির স্পর্শে প্রতিভাত হচ্ছে কুণ্ঠিত যূথবদ্ধ মানুষের সারি

 

আড়াল থেকে ১ টি বাঘ বেরিয়ে আসে অনুমেয় শিকারের অনুগ্রহে

১ টি হরিণ কর্ষিত পৃথিবীর সমস্ত ক্ষেত উজিয়ে এলিয়ে দেয় ক্লান্ত শরীর

 

ঝরা পাতা ঝরা জলে বীতশোক সহস্র ইঙ্গিত

আনাচে কানাচে রাত গণতন্ত্রের চোরা ফিসফাস

কেলানের মত জন্মদাগ থেকে আসবাব চুঁইয়ে পড়ে

 

জ্যোৎস্নার কাছাকাছি গেলে গৃহস্থ বিড়াল বাঁক নেয় চাপা উনুনের দিকে

উত্তপ্ত কফিমগ থেকে পশ্চিমীবাদী উড্ডীন সূচ আর ভ্রূণ জেগে ওঠে

 

একই নাভির দিকে চেয়ে থাকে বিহ্বল প্রেমিক ও পুরুষ

 

দ্বিতীয় সূর্য ও মফস্বলের পানে কখনোই কেউ দৃকপাত করেনি

 

 

No comments:

Post a Comment