মরণোত্তর
একটি মোমবাতির শিখা
একটি শাদা কাফন
ভরের নিত্যতা আছে
শক্তিরও
শরীরের রক্ত মাংস মজ্জা
গোপনাঙ্গ ধবল হাড় ও প্রতি রোম কূপ
প্রকৃতির জড়দেশে মিশে গিয়ে খুঁজে নেবে নতুন শরীর
যে-হাতে ধরেছি খাতা হলুদ কলম
যে-মাথা ভেবেছে শত গভীর প্রতীতি
সব অন্য কারো ছিলো একদিন
চুমুর গন্ধমাখা কোনো ভেজা ঠোঁট
অণু-পরমাণু জালে এই শরীরে ভেসেছে
ঘুম
আলো এসে পড়ে চোখে ফোটন প্রবাহ
যে-শয্যায় ওম ছিল বালিশ কবোষ্ণ
দূরে রেখে ছুঁড়ে রেখে যাপন সৈনিক
হবো
।
মুখ প্রক্ষালন আদি জলশৌচ অন্তে
পৃথিবীর ধুলো কালো আবর্জনা যতো
ক্লান্ত করে মগ্ন করে দেখি নারায়ণ
মদিরা সাগরে দীর্ঘ ঘুমন্ত ঈশ্বর
আজও
।।
নবজন্ম
শকুন। বিলুপ্ত
নীচে অকালমৃতা ধর্ষিতা
নীচে দুপেয়ে শেয়ালেরা
ডিনারের ডিসে ডিসে রমণীশরীরে
হাইরাইজ ফ্ল্যাটগুলোর চেয়ে
পাহাড়ের গুহা ঢের ছিল ভালো
যুদ্ধ। শিশুদেহ খুবলে নেয় কনসেনট্রেশান ক্যাম্প
কে বলে শকুন নেই শেয়াল ডাকে না প্রহরে
।
শেষ কাপড়ের টুকরোও ছিঁড়ে নেয়
শেষ নিশ্বাসটুকুও মেয়েটির
চেতনাপ্রবাহ সঞ্চারিত হয়। একটা জীবনের সীমানা সামান্য কিন্তু চেতনাপ্রবাহ দীর্ঘ দীর্ঘ মৃত্যুহীন এগিয়ে যায়। আদি যুগ থেকেই তো চলে আসছে। আর এই বোধ কবির কলমেই ধরা পড়ে:
ReplyDelete"যে-হাতে ধরেছি খাতা হলুদ কলম
যে-মাথা ভেবেছে শত গভীর প্রতীতি
সব অন্য কারো ছিলো একদিন"