১
সেক্সকূপে তলিয়ে গেল সহস্রকোটি
পূন্যবান চাপড়া। নষ্টভ্রূমে তরতর করে বেড়ে উঠছে মশাদের জীবিকা-ব্যবস্থা; এতো মাংস খাবলে
খেল, কোন সে পাপ-প্রতাপ? জায়নামায কক্ষেও ইমান হাইট হয়ে পালিয়ে আছে ক্রমাগত...
- যে
বীণা
বেজে
চলেছে
অনন্তকাল...
তার
কী
আছে
নিয়ন্ত্রণ
পরিধী
ধর্ম!
বিস্ময়ের উপর ভাস্কর গেড়ে
দিলে দাঁড়ি, তাই কী হলো পুনর্জন্ম ব্যবস্থা?
:হাওয়া-মাছের মতো আমরাও
কীভাবে ভেসে বেড়াই, রঙহীন!
হে প্রেমি:
আমার স্মরণের পুলসেরাত;
এতো ভুল গিলে তোমায় নিয়ে স্বর্গে যাবো কোন কালে?
দ্যাখো----
‘জামার ভেতর শরীর, শরীরের
ভেতর পরাণ, পরাণের ভেতর তুমি; সেই তোমার ভেতর আবার জামা আবার শরীর আবার পরান আবার পরাণের
ভেতর আমি এবঙ আবার অনেক কিছু...!
ফলত ভালোবাসাও হয়ে গেল
রূপক পায়ে পড়া নুপূরের পাপাচার নৃত্য।।
২
তারকাটায় ঝিমিয়ে পড়ে ভৌগোলিক
আজান
তবু বিদ্রোহ করি____শাপলার
পরাণস্রাবের রঙ নিয়ে লিলি হয়ে উঠে লালকুমারী জলকন্যা...
আমার হাতে মনবিরোধীয়ানা
রাইফেল
তাই___তোমাকে ঘৃণা করে
নিজেকে মেরে ফেলার অভ্যাস অথবা আমাকে টার্গেট করে তোমাতেই ছুঁড়ে দিই ফুলের বুলেট!
৩
বেহেস্ত থেকে বিতাড়িত
হয়েছি ক্যাবলই তোমাকে ছুঁবো বলে!
হেঁ প্রেমি, আমার এ কূলের
মায়ানদী-
তুমি কী দেখতে পাও না
তোমার ঘোরউৎসবে আমি এক ধ্যানমিতালী আবির; আমি রঙের ধোঁয়ায় ছড়িয়ে পরলে তুমি পাও হোলি-জীবন
চিরকাল...? দ্যাখো তোমার চোখের তালুতে আবার হিডেন হয়ে আছে শশ্মানের ওম; তারপর বিরতিচিহ্ন,
তারপর ভেবে ফেলা চেতনার-পা, তারপর হোঁচট ধাক্কা এবঙ মিহি মাটি হয়ে সাঁতার দাও মাটির
পরাণে! আমার নিজস্ব কোন চিতা নেই বলে ঢুকে যাই তোমার বুকে!
যাক
বাদ
দাও
পোড়া ছাই, ছাই পোড়া কথা;
সমাজের ধর্ম মেনে নেয়া;
আমাদের নিজস্ব কোন বায়োডাটা নেই বলে তাজমহলে গিয়েও টিকেট কাটতে হয় আলাদা আলাদা নামে!
অথচ প্রাচিনকালের হাওয়ামহ পাখিরাও জানে, ইতিহাসে সেঁটে যাবার আগেই শাহজাহান গৈড় দিয়েছিল
মমতাজের হৃদকোলে! মাছের বাজারে পঁচে যাবার আগে আমিও তোমার পুকুরে লাফ দিয়েছিলাম, তুমি
ছিলে জলের কোম্বল আমি চিলাম আষ্টেবিহীন মাছ! কিন্তু মানুষ মেনে নিল এসব সেদিন, যেদিন
ইতিহাস হলো ধর্মের মতো আরেকটি বিশ্বাসী ধর্মগ্রন্থ এমনকি তুমিও তখন এ গ্রন্থের নিয়মিত
উপাসক; কে জানে আমাকে মুছতে মুছতে এ বস্তুউপাস্যের মহিয়াসিনী হয়েছো কী না!
আমি তো এখন নরকের ধারাবাহিক
কাস্টমার, স্বর্গের দোকানে যেতে পারি না আর, কিনতে পারি না নগদে কিম্বা বাকিতে কিছু
তৃপ্তিফ্লেবারি চকলেট!
৪
আমি কবি। তবু আমি সমসাময়িক
বিষয় নিয়ে কবিতা লেখি না, মূলত ইচ্ছা হয় না। অন্য সবার মতো বুলেটের গোলি দিয়ে ফুলের
হকার হবার ইচ্ছে আমার কস্মিমকালেও ছিল না; আমি যা ফিল করি তাই বিশ্বাস করি এবঙ এ বিস্তারিত
বিশ্বাসই হয়ে উঠে কখনো কখনো কবিতা। নানি ঝোলা গুড় দিয়ে মুড়ি মাখায়, তাতে আমার কী? গেরস্থবাড়ি
মুড়ি ভেজে বালু খায়, তাতে আমার কী? বেওয়ারিশ লাশের পাশে কাকের মিছিল এবং পড়ে থাকা মানিব্যাগের
পাশে হাতের মিছিল... তাতে আমার কী? প্রেমের হাত ফসকে গেলে বিরহের সাথে বিয়ে বসে শূন্যনিবাসীগণ,
তাতে আমার কী? শিক্ষিতপাড়ায় বেকাররা গরিব, গরিবরা হতাশ, হতাশ সমাজে মদ্যদ্রব্য জলখাবার,
তাতে আমার কী? আমি জানি- মনতদন্তের তাবলিগে আজকের মুরিদ আগামীদিনের পীর নয়তো সমালোচক-
যে বনে বাঘের ভাত হরিণ সে বনে খরগোশ ক্যাবলই ঘাসের মাজরাপোকা! সোনামণিদের কাছে কুমিরের
গল্প আনন্দের, কবিরা সোনামণি, কবিরা কথাকুমির; এর বেশি কিছু নয়! মূলত কবি হচ্ছে যুদ্ধের
বাইরে যোদ্ধা, সমাজের বাইরে সমাজ, প্রেমিকার বাইরে প্রেমি, ধর্মের বাইরে ধর্ম, মানুষের
বাইরে মানুষ; এরা কোন কিছুর ভেতরের কলিগ নয়, যেমন নয় ঈশ্বর!
৫
যুদ্ধের তলোয়ারের মতো
আমিও এক বিবস্ত্র মানুষ
রক্তপোকার মতো কোথাও আমার
পোষাক নেই!
: তোমার ব্লাউজের বেরিবাধ
ভেঙে যাবার মতো আমার জীবনেও কী সুন্দর ভয়ঙ্কর ভয়!
: কথার-পরোকিয়ায় মানুষ
এক ইরোটিক ভ্রমর
- সব খানেই যৌনতার ছায়া,
আমি জায়নামায পাতবো কৈ?
বরং আমাকে মেরে ফেলো প্রেমে
চুবায়ে নয়তো মুগ্ধ করে!
৬
....এখনো রোদকুমারী ক্যারি
করে তোমার কাঁচা-ভোরের পেঁকে যাওয়া গোপন দুপুর
আহা দীর্ঘ আহা______
চৈত্রের ভালে কী সুন্দর
পরিয়ে দিয়েছো জ্বলা-জ্বলি টিপ!
আমার অমীমাংসিত ঘোর, সাইকেল-বাতাসে
চড়ে,ঘুরে;
জ্ঞান হারায়- তোমার তাপচত্বরের মোড়ে!
ইশার আজানের ডাকে সন্ধ্যালো
ঘোমটা দিলে তুমিও ঘণ অন্ধকার হয়ে যাও; স্মরণঘড়ির ব্যাটারি খুলে রেখো...
আহা মানবিক আহা অমানবিক!
আমার তরে____চলে যাও ভুলে
যাও না,
অন্যের তরে____ ভুলে যাও
চলে যাও না
No comments:
Post a Comment