যন্ত্রণাদিন
চব্বিশ কম্পাঙ্ক
প্রতিটা সেকেন্ড। এক থেকে গোনো ষাট। সময় বুঝতে হাজার যোগ
করে নাও আগে।
এইভাবে-
হাজার ১
হাজার ২
হাজার ৩
টানা বলে যাও। ষাট অব্দি। হাতে ফুরোলো একমিনিট। কব্জি ডোবাও
এভাবে আরও উনষাট। পুড়ে গেল ঘন্টা ১। তারপর আরও ২৩ ইন্টু ৬০। মাড়িচোয়াল নাড়াতে নাড়াতে
রক্ত মুখে। ফ্লাইওভার ভেসে যাবে। তুমি তখনও একা শহরের পথে পথে। ফার্মেসির বিল হাতে।
ঝুলতে ঝুলতে বাড়ি পর্যন্ত। শুধু সংখ্যার পর সংখ্যা। সংলাপ অজস্র। দেখবে বৈদ্যুতিক তারের
জট। তুমি সেখানেও ছন্দ খুঁজবে। ডাস্টবিনের গন্ধ আসবে নাকে। বৃষ্টির জলে। কুকুরের সাঁতার
দেখতে দেখতে তুমি ঘুমিয়ে পড়বে। ঘুম ভাঙাবে অতীতের ধেয়ে আসা ট্রাম। কাক-শকুনের ভোজ জীবন
আনন্দের মৃতদেহ। পঞ্চমীর চাঁদ দেখতে চাইলে ট্রামলাইন বরাবর হেঁটো। যদিও স্থিরতা নেই
কোনো। হয়তো চাঁদ দূষিত আকাশে আজ আর উঠবে না। ডাইলুটেড কিটোরোল চুষে দিন কাবার করে দেবে।গদ্যশরীর
আচমকাই এলিয়ে পড়বে। স্লথ হয়ে যাবে। ব্যালেরিনা নীল তুমি! এসো ম্যালেরিয়া। এসো অ্যানোফিলিস।
জমা জলে লার্ভা হয়ে। সিফিলিস তুমি হিজড়ের বৈঠকে। হাঁপানি জন্ম। মৃত্যু নরক। ট্রাম্পলিনের
উপর লাফাতে থাকো। পাতলা হাউল শিখে ডিমভাতেই চালিয়ে নাও। সাময়িক কেরামতি। পেটোতে পরিস্কার।
বোম ভোলে বোম। সাতশো কম্বিলেবঞ্চুশ। চড়াম চড় ফাটছে স্বর উনিশশো গেস্টাপো। জ্বরের ঘোরে
এবং ফিরে ধর্ষণে বিষ মাপো। এ-ভাঙাচোরা ভাষা না-নির্মিত, এক অস্বীকার প্রকাণ্ড যেন সপ্তর্ষিমণ্ডল।
প্রতিটা সেকেন্ড শুষে নিচ্ছে রোজ। সময় যেখানে নেই। নিজেরই ভেতর এক কৃষ্ণগহ্বর।
No comments:
Post a Comment