বাক্‌ ১৫০ ।। অনিন্দ্যসুন্দর পাল


ব্রহ্ম-বিলাস



ওষ্ঠধর, লোনা বিষাদ
তারই মাঝে হাঁটু মুড়ে বসে পড়েছি

কালো মেঘ, প্রতিটি ঢেউ
উঠেছে দেখো, দীর্ঘ এমন অন্ধকার

আমি হাঁটু মুড়ে বসে আছি
পবিত্র আলোয়, যেন দীক্ষা দেন সাধক

জানো, হে ক্রমাগত!
দীক্ষার সময় বছরের পর বছর
ঘুরে যায়, তবু রাত্রি নামে না ।



কাদের মতো চোখে বিদ্যুৎ জ্বলে?
ধর্মপ্রচারক নাকি পাগল?

তাঁদেরও তো চিৎকার শান্ত, শানিত
দহিত, নৈরাত্ম

জন্ম নেবে কি? কিংবা উলঙ্গ
কোনো দেবতা ছুটবে হাঁটবে
বিষণ্ন শীতল স্তন জুড়ে?

দেখো, হে দ্যুতিময়!
কটুগন্ধময় উজ্জ্বলে 
তারাখসা নারীদের মতোই ।



ভেষজ গন্ধ আসে ভেসে
হয়ত অন্য কোনো অনুভব
বাষ্প ওঠে, ধোঁয়ায় ধোঁয়ায়
সুবিন্যস্ত জটিল

মুখোমুখি হন বাঘিনীর দল

মনে পড়ে, হে স্পর্শকাতর!
ব্রহ্মার সাথে প্রথম সাক্ষাতেই
কিভাবে অন্তঃসত্ত্বা হয়েছিলে তুমি?


৪.
এপর্যায়ে, সহবাস নিষ্পাপ
ঘুমিয়ে থাকে দেহ ও পঞ্চভূত

ভিজে যায় ঠোঁট, উৎসিক্ত ভ্রু
ধর্মের কাছে পরাজিত সব

নর্যাসিত জলস্রোত, নিস্তব্ধ কলকণ্ঠ,
বক্রমুখ পিপাসু

বোঝো নি, হে রক্তকরবী!
সে অন্ততকাল, আমি হাঁটু মুড়ে

তুমি দীক্ষিত জেনেও
যেভাবে দীক্ষা নিতে আসো! 

 

No comments:

Post a Comment