বাক্‌ ১৫০ ।। কৌশিক সেন

 

দেবী বন্দনা

 

ও দেবী, তুই আর কতদিন আগুন জলে পদ্য লিখে

ও দেবী, তুই আর কতকাল খড়খড়িতে, বোরখা চিকে

ও দেবী তোর কণ্ঠিবদল, চারদেয়ালে রঙের বাহার

ও দেবী তোর আনারকলি, চোলির ভেতর মাংসআহার!

দেবী তুই ধর্মে থাকিস, চর্মে তবু ঘর্ম জমে

দেবী তোর বর্মে শরীর, মর্মে কেন আগুন কমে!

ও দেবী তুই হিজাব ঢাকা, পাখায় ওড়ে জাল কপোতী

দেবী তোর ডানায় ফাগুন, আগুন ধরায় হাজার পতি

ও দেবী, তোর খিড়কীপুকুর, স্বচ্ছবাসে কোমর বাঁকা

দেবী তোর একলা দুপুর, ডবকা বুকের আঙন ফাঁকা

দেবী তোর ফাগুনরাতে আবছায়াতে অলক্তকে চরণরাঙা

ও দেবী, তুই মলম লাগাস, কলমদানি, দোয়াত ভাঙা!

দেবী তোর খড়্গ নাকি রক্তে ভেজা সেমিজ সুতোর

ও দেবী, তুই পর্দানশিন, শেকলবাঁধা হাজার ছুতোর

ও দেবী, তোর রাত কেটেছে সোহাগজলে পদ্য লিখে

ও দেবী, তোর মেঘ-ক্লিটোরিস উড়িয়ে দে’না মন শালিখে!!

 

 

কম্পাস

 

আকৃতি মুছেছো তুমি, পদ্মাসনে নোঙর আঙিনা

লাবণ্য মেখেছে রোদ, পথিমধ্যে কুহক সকাল

 

দীর্ঘদেহী ঘ্রাণ ছিল, নাবিকের হংসমুখী দিন

কিয়দাংশ স্পষ্ট ছিল, রাতভর জাগ্রত মশাল

 

অগণিত মেধারাশি, মেঘমাসে জাগে পরিসীমা

তণ্ডুলে উঞ্জবৃত্তি, নিক্তিতে মেপে রাখা শোক

 

নৃপতি অত্যাচারী, কৃপাণে পাষাণমহিমা

হাড়মাংসে মৌর্যবংশ, একবিংশে জাগে চণ্ডাশোক

 

অলক্তক পাদপদ্মে, রক্তমাখা কোকনদ দীঘি

পত্রাচারে অগ্নিশুদ্ধি, মানচিত্রে অগ্নিবলাকা

 

রাতজাগা ঊরুসন্ধি, কামগন্ধি আবৃত পরিধি

ক্লেদ শুধু মেদিনীতে, গ্রাস করে যুদ্ধরথচাকা।

 

ধাত্রীবিদ্যা সিদ্ধকাম, লব্ধ কর জননের ধ্যান

ক্রৌঞ্চসুখ তিরবিদ্ধ, স্তব্ধ হয় আদি ব্রহ্মজ্ঞান!!


2 comments:

  1. স্পন্দমান, অনবদ্য উচ্চারণ। বিশেষত "কম্পাস" মনে থেকে যাবে।

    ReplyDelete